কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউন পর্বের আজ ৩৪তম দিন। গৃহবন্দি জীবনে নাকাল মানুষ। বাড়ছে আর্থিক সঙ্কটও। ত্রাণ যা মিলছে তা পর্যাপ্ত নয়। ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। বাঁচার তাগিদে খাদ্যের সংস্থান করতে হচ্ছে। লকডাউনে রুটি-রোজগার বন্ধ। এক কঠিন পরিস্থিতি। আর দিন আনা- দিন খাওয়া মানুষদের আরও করুণ দশা।
রুজি হারিয়ে অনেক ভদ্র পরিবারের সন্তানও এইসময় হাতপাততে বাধ্য হচ্ছেন। ত্রাণের দাবিতে অনেক জায়গায় বিক্ষোভের খবরও এসেছে। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার তারাগুনিয়ার দাসপাড়ায় ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখা যায়। রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ওই এলাকা। সকাল থেকেই খাওয়া হয়নি এমন মানুষও চোখে পড়ছে। খাদ্যের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছেন অনেক মানুষই। লজ্জায় অনেকে সঙ্কোচ বোধ করছেন। কিন্তু অসহায় …..।
হাতপাতার অভ্যাস নেই এমন মানুষও এই পরিস্থিতিতে চক্ষুলজ্জা ভুলে খাবার চাইছেন। দুর্ভিক্ষ দেখেনি এই প্রজন্মের অনেক মানুষই। খানিকটা এই পরিস্থিতিতে আন্দাজ করতে পারছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে কয়েক কোটি ভারতবাসী দারিদ্রসীমার নীচে চলে যাবে। সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন লাগলে এদেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হবে। বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর প্রবল সম্ভাবনা। তা রুখতে মরিয়া প্রয়াস রয়েছে। আবার লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে হাতপাতা মানুষের সংখ্যা লাখে লাখে বাড়বে, তারও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞমহলে।