কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে চরম সঙ্কটে রাজ্যের মৌ-পালকরা। মূলত খাদ্যের অভাবে মারা পড়ছে হাজার হাজার মৌমাছি। ঘাটতি হচ্ছে মধু উৎপাদনেও। সবমিলিয়ে মহা-বিপদে মৌ-পালকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি, মালদহ সহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রায় ৬০ হাজার মৌ-পালক এই পেশার সাথে যুক্ত।
সূত্রের খবর, ফুলের মরশুম অনুযায়ী মৌমাছির বাক্স ছোট লরিতে চাপিয়ে ভিন্ন জেলায় নিয়ে যান মৌ-পালকরা। এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য, মৌমাছিদের খাদ্য সংগ্রহ করা। যেখানে প্রচুর সরিষার চাষ হয়, সেখানে মৌ-পালকদের গন্তব্য থাকে। আবার ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে মালদহ জেলায় মৌ-পালকরা যান, কারণ সেখানে আমের মুকুল থাকে। এপ্রিলের শুরু থেকে সুন্দরবনে যান মৌ-পালকরা। এইসময় মৌমাছির বাক্সগুলি ফুলের বাগান সংলগ্ন এলাকায় সকালের দিকে খুলে দেওয়া হয়। মধুর সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় মৌমাছিরা প্রায় ২ কিমি পর্যন্ত এলাকায়। সন্ধ্যার পূর্বেই নিজের নিজের বাক্সে ফিরে আসে মৌমাছির দল।
মৌ-পালকদের একটা অংশ জানিয়েছেন, লকডাউনে বাড়িতেই রাখতে হচ্ছে মৌমাছিদের। এখন চিনির রস খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ কেজির বেশি চিনির প্রয়োজন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চড়া দামে চিনি কিনে মৌমাছিদের খাওয়ানোও সম্ভব হচ্ছে না। আরও বিভিন্ন মরশুমে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ফুলের মধু খাইয়ে মৌমাছিদের বাঁচিয়ে রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। সবমিলিয়ে জেরবার পরিস্থিতিতে মৌ-পালকরা।