কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ঋষি কাপুর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বর্ষীয়ান এই অভিনেতা বেশ কিছুদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তিনি একজন অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক হিসেবে হিন্দি চলচ্চিত্রে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
১৯৫২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম হয় চেম্বুর শহরের একটি পাঞ্জাবি হিন্দু কাপুর পরিবারে। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক এবং নায়ক রাজ কাপুরের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান। প্রথমবার “শ্রী-৪২০” ছবিতে “প্যার হুয়া একরার হুয়া হ্য় প্যার সে ফির কিউ ….” গানের একটি দৃশ্যে তাঁকে বৃষ্টিভেজা রাতে রেনকোর্ট পরে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। ১৯৭০ সালে “মেরা নাম জোকার” ছবিতে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে প্রথমবার কাজ করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে এটিই ছিল তাঁর প্রথম ছবি। এরপর ১৯৭৩ সালে “ববি” ছবিতে ডিম্পল কাপাডিয়ার বিপরীতে তাঁকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায়।

এরপর “রফু চক্কর” (১৯৭৫), “লায়লা মজনু” (১৯৭৬), “কর্জ” (১৯৮০), “প্রেম রোগ” (১৯৮২), “সাগর” (১৯৮৫), “চাঁদনী” (১৯৮৯), “দিওয়ানা” (১৯৯২) সহ বিভিন্ন ছবিতে সুনামের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ৯২টি রোমান্টিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর শেষ ছবি ছিল “দ্য বডি” (২০১৯)। এছাড়া “শর্মাজী নমকিন” ছবিতে তিনি অভিনয় করছিলেন। সেই ছবি এখনও অসমাপ্ত বলে জানা গিয়েছে।
১৯৭৩ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তাঁর সহধর্মিনী নীতু সিং-এর বিপরীতে মোট ১২টি চলচ্চিত্রে এক সাথে কাজ করেছিলেন ঋষি কাপুর। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারি ঋষি কাপুর অভিনেত্রী নীতু সিংকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুইটি সন্তান রয়েছে– অভিনেতা রণবীর কাপুর এবং ডিজাইনার রিধিমা কাপুর সাহানি।

১৯৭০ সালে “মেরা নাম জোকার” ছবিতে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে প্রথমবার ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পান। এরপর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, জি সিনে অ্যাওয়ার্ড, স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি। ২০০৮ সালে তিনি পান ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৬ সালে পান স্ক্রিন লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। তাঁর মৃত্যুতে বলিউড জগৎ শোকস্তব্ধ। দেশ ও বিদেশের বিশিষ্টরা ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।