কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের লবণ ঢেলে দিয়েছে আম্ফান। কৃষিক্ষেত্র নোনা জলে ক্ষতিগ্রস্ত। গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাঁচাতে ওই নোনা মাটিতেই ধান চাষের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবন সহ আম্ফানে যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে চাষের কাজ দ্রুত শুরু করার তৎপতা শুরু হয়েছে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, লবনাক্ত জমিতে আমন চাষ শুরু করতে বিশেষ প্রজাতির ধানের বীজ প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। যারজন্য লুনাস্বর্ণ, লুনিশ্রী ও গোসাবা-৫ প্রজাতির বীজধান এই বর্ষায় কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষিদপ্তর। কৃষিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নোনা জমিতে ধান চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
নদীবাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ। কোটালের সময় আবারও নদীর নোনা জল যাতে জমিতে প্রবেশ করতে না পারে। জমিতে বর্ষার জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি নোনাভাব কাটাতে জমিতে ধঞ্চের মতো গাছের চাষ ও হিউমাস তৈরির কথাও জানিয়েছে কৃষিদপ্তর। উল্লেখ করা যায়, গাছ, লতাপাতা পচনের দ্বারা তৈরি হয় হিউমাস। যা কৃষিক্ষেত্রের উর্বরতা বাড়ায়।