কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন অনেকেই। রয়েছে বড় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন। আবার কারও কারও স্বপ্ন রয়েছে একটা ভবন নির্মাণ করবেন। তা দেখে অবাক হবেন অন্যরা। সফটওয়্যারের জগতে বিপ্লব এসেছে। আপাতত ওঁদের বানাতে হবে খাবার। গাইতে হবে গান। তৈরি করতে হবে ছবিও। আবার বাড়িতে করতে পারেন বাগান। ঘরও পরিষ্কার রাখতে পারেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আপাতত এসবেই পাওয়া যাবে নম্বর। বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পরীক্ষায় মিলবে বিশেষ সুবিধে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন বলে বিশেষ কোনও ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। অন্যদিকে বাড়িতে শুয়ে- বসে না থেকে রান্না-বান্না করুন। গল্পের বই পড়ে পর্যালোচনাও লিখতে পারেন। আবার ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারেন অভিভাবক ও পিতা-মাতাদের। শুধু এই সব কাজগুলির ভিডিও করে তা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিলেই ডিগ্রি পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধে পাওয়া যাবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের খবর, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের ডিগ্রি পাওয়ার জন্য মোট ৪ বছরে বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্ট-অ্যাসাইনমেন্ট থাকে ১০০ নম্বরের। ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়ারা এখন কার্যত গৃহবন্দি। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয় চাইছে, যথার্থ নাগরিক হিসেবে ঘরের কাজেই আপাতত মনোযোগ দিক পড়ুয়ারা। গান ও গল্প লিখে এবং ছবি তৈরি করে তাঁরা প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে।
এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংটাই জীবনের সবকিছু নয়। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে, এই বিষয়ের শুরুটা হোক এখনই এবং এই অবস্থাতেই। দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে দক্ষতা অর্জন করুক পড়ুয়ারা। এক্ষেত্রে বাস্তব পরিস্থিতিতে ও ভবিষ্যতে বিদেশে কাজ করতে গিয়েও পড়ুয়াদের কাজে আসবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের মানসিক অবসাদ কাটানো ও পড়ুয়ারা যাতে তাঁদের সময় অলসভাবে নষ্ট না করেন, সে কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।