কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: একগুচ্ছ সুপারিশ ইউজিসি-র। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় পরীক্ষার সময় নতুন শিক্ষাবর্ষ প্রভৃতি কী হতে পারে, তা বিশেষজ্ঞ কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয় গত ২৭ এপ্রিল। তারই ভিত্তিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারিশ পাঠাল ইউজিসি। জানা গিয়েছে, অন্তর্বর্তী সেমিস্টারের পড়ুয়াদের মূল্যায়ন, ইন্টারনাল পরীক্ষা এবং আগের সেমিস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে। করোনা মুক্ত পরিবেশে রাজ্যে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে জুলাইয়ে। আবার চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা হতে পারে জুলাই মাসে।
শিক্ষাবর্ষ ও পরীক্ষা সম্পর্কে সমস্যা নিরসনে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ কমিটি বা সেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর পরে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাসের কথা ভাবা যেতে পারে। আরও জানা গিয়েছে, ৩ ঘন্টার বদলে ২ ঘন্টা পরীক্ষা হতে পারে। অনলাইনেও নেওয়া সম্ভব। আবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা বিকল্প শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ইউজিসি-র আরও সুপারিশ, অন্তর্বর্তী সেমিস্টারে ৫০% নম্বর আগের সেমিস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে ঠিক হতে পারে। বাকিটা ইন্টারনাল পরীক্ষায়।
আগের সেমিস্টারের নম্বর না থাকলে (প্রথমবর্ষে) পুরোটা আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে। আবার পড়ুয়া গ্রেড বা নম্বর বাড়াতে চাইলে পরের সেমিস্টারে বিশেষ পরীক্ষা। পরীক্ষার এই নিয়মবিধি শুধু ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের। গবেষণার ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, এম ফিল এবং পিএইচডি পড়ুয়াদের বাড়তি ৬ মাস সময়। লকডাউনের সময় পড়ুয়া ও রিসার্চ স্কলারদের ক্লাসে উপস্থিত ধরা হবে। আবার গবেষণাগারে পরীক্ষা বা ফিল্ড স্টাডির বদলে আপাতত সেকেন্ডারি ডেটার ভিত্তিতে কাজ করার জন্য উৎসাহ। মৌখিক মূল্যায়ন করা যেতে পারে অনলাইনে।