কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : “আম্ফান”-এ বিধ্বস্ত সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলি। ঝড়ের ঝাপটায় জেলার সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্রগুলির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, এর আগে লজ ও অতিথি নিবাসগুলির বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সবুজায়ন-সহ সার্বিক পরিকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছিল “বুলবুল”-এর। সেই ক্ষত মেরামত করার পর আবারও এল “আম্ফান”।
এবার একেবারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ৯০ শতাংশ পর্যটন কেন্দ্র, এমনই দাবি। পর্যটন দপ্তর সূত্রের খবর, বকখালির হেনরি আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, সজনেখালি পর্যটন নিবাস, পাথরপ্রতিমার ভগবৎপুর কুমির প্রকল্প, বনিক্যাম্প, কলসদ্বীপ এবং গোবর্ধনপুরে সব লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে মৌসূনি দ্বীপে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর পরিচালনায় ক্যাম্প হাউস রয়েছে।
গোসাবার পাখিরালয়, লাহিড়ীপুর, সাতজেলিয়া, লাক্সবাগান, শান্তিপুর ও পাথরপ্রতিমার জি প্লটে বেসরকারি ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে, সেখানেও একই অবস্থা। সূত্রের আরও খবর, কোথাও ঘরের ছাদ উড়ে গিয়েছে, কোথাও পুরো পরিকাঠামো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়ে এখন সবই অন্ধকার। উল্লেখ্য, মৎস্য দপ্তরের অধীনে বকখালির হেনরি আইল্যান্ডের ভিতর কয়েক হাজার গাছ ছিল। তার অধিকাংশ বুলবুল ঝড়ে ধ্বংস হয়। অবশিষ্ট যা ছিল, তা এবার আম্ফান-এ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক্ষেত্রে আরও জানা যায়, পর্যটকদের থাকার জন্য এ, বি এবং সি- ৩টি সেক্টরে লজগুলির প্রতিটির মাথার টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। কাচের জানালা ভগ্ন দশায়। বিদ্যুতের তার ও খুঁটি একটিও দাঁড়িয়ে নেই। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ওই আইল্যান্ডের মধ্যে চিংড়ির চাষও ব্যাহত। সব মিলিয়ে সমস্যা প্রকট।