কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: গোঁড়ামি, জাতপাত, ধর্মীয় সংকীর্ণতা প্রভৃতির বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের কলম ছিল ধারালো। নজরুল অনেক পূর্বেই আমাদের জীবনধারা বদলানোর জন্য বলেছিলেন। আজ কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মদিন। হিন্দু ও মুসলমানের সমন্বয় ও মানবতার জয়গানই গেয়েছেন তিনি। ‘অগ্নিবীণা’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘ভাঙার গান’ সহ প্রভৃতি কাব্যে সেই দীক্ষাই দিয়েছেন তিনি। ধর্ম তাঁর কাছে ছিল সত্যনির্ভর।
করোনার গ্রাস, কর্মহীন শ্রমিক, আম্ফান তাণ্ডব সবে মিলে জেরবার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি বড় প্রাসঙ্গিক। তিনি দেশহিতৈষী ভাবনার সঙ্গে জাতি, ধর্ম, ভাষা, ধনী, দরিদ্র ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সম-অধিকারের জয়গান গেয়েছেন একগুচ্ছ সাম্যবাদী কবিতায়। তিনি একদিকে বিদ্রোহী কবি, অন্যদিকে সাম্যের কবিও। ধর্মের ভেদাভেদ মুছে দেওয়ার জন্য তিনি লিখেছেন, “গাই সাম্যের গান — যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান। যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ মুসলিম-খ্রিশ্চান। গাই সাম্যের গান !”
আবার নারীর ভূমিকা প্রসঙ্গে ‘নারী’ কবিতায় তিনি লিখেছেন, “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণ-কর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিবসে আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ্য।