কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আজ ঐতিহাসিক মে দিবস। খেটে খাওয়া মানুষের অধিকারের দিবসে শ্রমিকের হাতে কাজ নেই। লকডাউন পরিস্থিতিতে বিপন্ন জনজীবন। শ্রমিক দিবসে বন্ধ কারখানার গেট। করোনা সংক্রমণে কাজ হারিয়েছেন অগণিত মানুষ। আর্থিক সঙ্কটে পেশা পরিবর্তন করছেন বহু মানুষ। লকডাউনের জেরে ১ মাসেরও ওপর বন্ধ কলকারখানা। কোথাও কালবৈশাখীর দাপটে কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। বোরো ধানের ফসল কাটার জন্য ভিনদেশের শ্রমিকও মিলছে না। লকডাউন পর্বে জেরবার পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা।
সূত্রের খবর, আসানসোলের কন্যাপুর শিল্পতালুক, রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুক, জামুরিয়া, কুলটি, সালানপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে বন্ধ স্পঞ্জ, আয়রন, লৌহ-ইস্পাত, সিমেন্ট, বিস্কুট, সাবান সহ একাধিক কারখানা। এইসব কলকারখানায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। কর্মীদের অনেকেই স্থায়ী এবং কেউ কেউ ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। মার্চের ২৩ তারিখ লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর বহু কারখানার কর্মচারীরা বেতন পাননি বলে অভিযোগ। আবার মে মাসের বেতন পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে গভীর সংশয়। এরফলে ঐতিহাসিক মে দিবসে অগণিত শ্রমিকের করুণ দশা। কাজ হারিয়ে অনেকে আবার বিক্রি করছে সবজিও।
অন্যদিকে, পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে বহু শ্রমিকদের নির্ভর করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা রাজনৈতিক দলের দিকে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আবার কারখানার মালিকপক্ষের বক্তব্য, কারখানা এখন বন্ধ। উৎপাদন করা জিনিস সরবরাহ করা যায়নি। ফলে টাকাও আসেনি। উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কারখানার মালিকরা।