কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত গোটা দুনিয়া। বাঁচার ধরণও এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই বদলে যাচ্ছে। লকডাউন পর্বে ঘরে বসে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন একটা বড় অংশের মানুষ। গৃহবন্দি জীবনে পাল্টে গিয়েছে মানসিকতাও। তথ্য অনুযায়ী জানানো হয়েছে, আমেরিকায় প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন বাড়ি থেকে কাজ করেন। এই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও করোনা সংক্রমণের পর তা বাড়ার ইঙ্গিতও মিলছে।
অন্যদিকে, বহু মানুষ বাড়ি থেকে কাজ করতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তাঁরা মনে করেন, এইভাবে কাজ করলে তাঁদের উৎপাদনশীলতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। একদিকে যাতায়াতের খরচ বাঁচবে, অন্যদিকে অনেক সময়ও বাঁচবে। পাশাপাশি শারীরিক ক্লান্তিও থাকবে না। এক্ষেত্রে একটা অংশ মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাতে যাঁরা অপছন্দ করেন, তাঁদের পক্ষে এই পন্থায় শ্রেয়।
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কথাবার্তা বেশি হলে মানসিক চাপ বাড়ে। কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। সেই কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। বাড়িতে ভাল পরিবেশে কাজ করার ফলে সময়ের কাজ সময়েই করতে পারছেন তাঁরা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কাজ অনেক বেশি হয় বলেও ধারণা। আবার অনেকে ভাবেন, বাড়ি বসে কাজ করতে হলে বেশি সময় কাজ করতে হয় না নজরদারি না থাকার জন্য। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিষয়টি ঠিক উল্টো।
আবার একাংশের ধারণা, অফিসে থেকে যাঁরা কাজ করেন, বাড়ি থেকে কাজ করা কর্মীরা তাঁদের চেয়েও বেশি সময় ধরে কাজে নিয়োজিত থাকেন। নিজের সময় মেনে পছন্দের কাজ করা, শখ মেটানো, লেখাপড়া করা, নিজস্ব পরিচর্যা, যোগব্যায়াম-শরীরচর্চা এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো সহ আরাম করা প্রভৃতি সহজেই করা সম্ভব হতে পারে। কোভিড-১৯ সঙ্কটকালে এখন থেকে এইসব পরিকল্পনা ঢেলে সাজানোর কথাও বিশেষজ্ঞরা বলছেন।