কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: কোভিড-১৯, লকডাউন, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন, স্যানিটাইজার, মাস্ক, করোনা পজিটিভ প্রভৃতি শব্দগুলি এখন রোজই শুনতে হচ্ছে। কতদিন চলবে এই লকডাউন, তা নিয়ে বিভিন্নমহলে প্রশ্নও রয়েছে। ভাল খবর শোনার প্রত্যাশায় রয়েছেন অগণিত মানুষ। শুনসান রাস্তাঘাট। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি। ঘরবন্দি জীবনে হাঁপিয়ে ওঠার পরিস্থিতি। চাল, ডাল, আলু প্রভৃতি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার তাগিদও রয়েছে। বিরাট ব্যস্ততা নেই গৃহবন্দি এই পরিস্থিতিতে। সবমিলিয়ে অচেনা-অজানা এক ছবি।
কারও কারও ফোন করলেই বাজার পৌঁছাচ্ছে ঘরে। সপ্তাহে ১ দিন বাজার করে নিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার মাস্ক ও গ্লাভস পড়ে কেউ ছুটে মরছেন রোজই। এখানে-ওখানে ব্যারিকেট, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিধি-নিষেধ। এসবের মাঝেই চলছে মধ্যবিত্তের জীবন। অনেকে আবার বলছেন, চিন্তা করে লাভ কী ! ব্রিটেনের রাজপুত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী কেউই তো রেহাই পাচ্ছে না। এখন দায়সারা করে হাত ধুলে চলবে না, ২০ সেকেন্ড সময় নিয়েই হাত ধুতে হবে।
অধিক ব্যবহারে হ্যান্ডওয়াশ, সাবান, স্যানিটাইজার দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। চিন্তা নেই। আবার আসবে। চলবে বাঁচার লড়াই। সরকারি, বেসরকারি, নানা স্বেচ্ছাসেবীদের ত্রাণ এই দুর্দিনে। বেশিরভাগ মানুষেরই মোবাইল, টিভিতে চোখ থাকছে আলোচনা, সাংবাদিক সম্মেলন সহ বিভিন্ন খবরে। গ্রাফ নিয়ে ভাবছেন অনেক মানুষ। পড়াশুনো বন্ধ। কোথাও কোথাও ভার্চুয়াল ক্লাস। একটা সময় যে বাচ্চাটিকে জোর করে পড়াশুনোয় বসানো হত এখন সে নিজেই বই নিয়ে বসছে। আর খেলতে ভাল লাগছে না।

একঘেয়েমিতে অনেকেই ঘ্যান-ঘ্যান করছেন। ঘুমের পর ঘুম। ঘুমাতেও আর ইচ্ছা জাগছে না। দীর্ঘ সময় বাড়ির মধ্যে থাকায় বাড়ির মানুষগুলোও কেমন যেন অচেনা হয়ে যাচ্ছে। হাত না দেওয়া বইয়ের তাক থেকে এইসময় নেমে এসেছিল কিছু বইপত্র। অখণ্ড অবসরে তার কিছু পড়াও হয়েছে। তবে গৃহবন্দি থাকার এই দীর্ঘ সময়ে দুশ্চিন্তা মন থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। কবে ভাইরাস চলে যাবে তা নিয়ে বেড়েছে সংশয়।
একপক্ষ, এক মাস তো হয়েই গেল। চলছে লোকডাউন পর্ব। কবে দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে পা রাখতে পারবে মানুষ তা নিয়েই ভাবনা। গৃহবন্দি থেকে আধখোলা জানালা দিয়ে ফাঁকা রাস্তা দেখার এই সময়টা অনেকেরই মনে থাকবে দীর্ঘকাল। তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়েও পাহাড়প্রমাণ চিন্তাও বাড়ছে মধ্যবিত্তদের।