কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউন পরিস্থিতিতে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা চরম সঙ্কটে। নববর্ষ ও অক্ষয়তৃতীয়ায় দূর্গা প্রতিমা তৈরির বায়না না পেয়ে হতাশ মৃৎশিল্পীরা। কুমোরটুলির অন্দরমহলে খোঁজ নিয়ে দেখা গেলে একেবারে হতাশার চিত্র। মৃৎশিল্পীদের একটা বড় অংশ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি যে কবে কাটবে তা কিছুই বুঝতে পারছি না। পরিবার নিয়ে কীভাবে বাঁচবো সেই চিন্তাতেই ঘুম উবে গিয়েছে।
প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ অথবা অক্ষয়তৃতীয়াতে পুজো কমিটির কর্তাব্যক্তিরা এসে প্রতিমার টাকা বায়না দিয়ে যেতেন। বাকি টাকার অর্ধেক পাওয়া যেত রথযাত্রার দিন। প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় মিলত বাকি টাকা। এবারই প্রথম এই বিপর্যয় নামল। অত্যন্ত আক্ষেপের সুরে প্রতিমাশিল্পীদের একটা অংশ জানালেন, নববর্ষ ও অক্ষয়তৃতীয়ার দিন দুটিতে এবারই প্রথম কোনও প্রতিমার বায়না হল না। ফোন করেও প্রতিমা বায়নার কথা বলেনি।
এইভাবে চললে সংসার চালানোই দায় হয়ে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, নববর্ষ ও অক্ষয়তৃতীয়ার দিন প্রধানত বনেদী বাড়ি বা বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটির পক্ষ থেকে এসে প্রতিমা বায়না দিয়ে যান কুমোরটুলিতে। কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে প্রায় সাড়ে ৩০০-র ওপর প্রতিমাশিল্পী রয়েছেন। তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রতিমাশিল্পীদের পরিবারও। শিল্পীদের পক্ষে এখন প্রতিদিন খাবার জোগাড় করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।