কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউন পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে বা শপিংমল খোলা না হলে ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মীর। সূত্রের খবর, থেমে পড়া অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও চাঙ্গা করতে রাজ্যের গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনগুলিতে দোকানপাট খোলার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য। তবে শপিংমল খোলার ব্যাপারে এখনও কোনও অনুমোদন দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের শপিংমলগুলির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের আর খবর, কলকাতা ও সন্নিহিত এলাকায় প্রায় ১০-১২টি শপিংমল রয়েছে। মল মালিকরাও বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি। জানা গিয়েছে, শপিংমলগুলির দোকানগুলিতে প্রতি বর্গফুটে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকায় পণ্য মজুত রয়েছে। সেই হিসেবে অনুযায়ী ১,৫০০ কোটি টাকার পণ্য অবিক্রিত রয়েছে। আবার দোকান মালিকদের বিপুল অঙ্কের মূলধনও আটকে রয়েছে। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহাবিপাকে তাঁরা। এক্ষেত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্টোর ম্যানেজার থেকে শুরু করে জুনিয়র অফিসার, সেলস বয়/ গার্লস, সিকিউরিটি সুপারজাইজর সহ একাধিক কর্মীও বিপাকে। মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়। এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন থাকলে বেতন দেওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে। প্রায় ৫০ হাজার কর্মীর চাকরিও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।