কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করার চেষ্টা অব্যাহত। অনলাইন সহ বিভিন্ন উপায়ে কবিগুরুকে স্মরণ করা হচ্ছে। অমঙ্গলের স্বরূপ চিনিয়েছিলেন তিনি। আজ আমাদের জীবনে প্রাসঙ্গিক রবীন্দ্রনাথ। তাঁর ভাবাদর্শ ও বিশ্বচেতনা আমাদের সজাগ করে তোলে। আজ দুর্দিনেও তাঁকে স্মরণ করার মরিয়া প্রয়াস রয়েছে। কবি আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন বাস্তব মানসলোকে।
তিনি আমাদের উপলব্ধি করিয়েছেন— “মাটির পৃথিবী পানে আঁখি মেলি যবে/ দেখি সেথা কলকল রবে/ বিপুল জনতা চলে/ নানা পথে নানা দলে দলে/ যুগযুগান্তর হতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনে/ জীবনে মরণে”। অন্যদিকে, ধর্ম সম্বন্ধে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নীতি নানা স্তর অতিক্রম করে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিভিন্ন লেখাতে প্রাশ্চাত্যের যুদ্ধকামী নেশনের বিরোধিতাও করেন। প্রাচ্যের নেশনতন্ত্র গড়ে উঠলে তিনি সমালোচনাও করেছিলেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে তাঁর সাহিত্য পড়ে, তাঁর রচিত গান গেয়ে, রবীন্দ্র নৃত্য করে সময় কাটছে। অচেনা রবীন্দ্রনাথকে জানার চেষ্টাও চলছে। অনন্ত অবসরে রবীন্দ্র সাহিত্যের গভীরে ঢুকে যাচ্ছেন অনেকেই। তাঁর সাহিত্যের বিভিন্ন দিক খুঁজে নেওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে একশ্রেণির পাঠকের। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সুখে-দুঃখে, হতাশায় এবং দুঃসময়েও। তাঁকে ব্যতী রেখে চলা বাংলা ও বাঙালির কাছে বড় বেশি মুশকিল। রবীন্দ্রনাথ আবার সুদূরপ্রসারীও। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজও রবীন্দ্র-চর্চা চলে।