কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: সকাল বেলাতে বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। আগামীকাল জামাইষষ্ঠী। এবার দুই বিপর্যয়ে চরম দুর্ভোগ। জামাইষষ্ঠীর বাজারে ভাঁটা পড়বে আম্ফানের ধাক্কাতে এটা জোর দিয়ে বলা যায়।
আম্ফান ঝড় ও নদীর জলস্ফীতির জেরে ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ভেড়ি। নদীর জল প্লাবিত হওয়ায় পুকুর ও নোনা জলের ভেড়ি ভেসে মাছ চলে গেছে নদীতে। আবার মিষ্টি জলের ভেড়ি বা পুকুরে নোনা জল ঢুকে মাছ মারা গিয়েছে সর্বত্র । এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে মাছের যোগান কমে গিয়েছে। আড়তদাররা পড়েছেন মহা সমস্যাতে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় মাছের দামও বেড়ে যাছে বাজারগুলিতে।
স্থানীয় সূত্রের খবর ,দক্ষিণ ২৪পরগণার ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী সহ উত্তর ২৪পরগনার ন্যাজাট,মিনাখাঁ ,সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ,বসিরহাট ও হাড়োয়া এলাকা মিলে কয়েক লক্ষ একর নোনা এবং মিষ্টি জলে মাছের চাষ হয়ে থাকে। ওই এলাকাগুলির বেশির ভাগ মানুষ মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। সেই মানুষদের এখন মাথায় হাত। সবজির ফসলেও একই অবস্থা। করোনা ও আম্ফান দুয়ের ধাক্কায় জামাইষষ্ঠীর বাজার ভাঁটা পড়বে তা ধরেই নেওয়া যায়।