কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: প্রথমে করোনা, তারপর আম্ফান বিপর্যয়। দুইয়ে মিলে জেরবার জনজীবন। ঈদ-উল-ফিতর উৎসবের আনন্দও ম্লান করে দিল বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ধূলিসাৎ বাড়িঘর ও জমির ফসল। কার্যত ভেঙে পড়েছে জেলার শহর ও গ্রামের অর্থনীতি। অনেকে আবার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মধ্যেই খুশির ঈদ পালন করতে চলেছেন কলকাতা সহ তৎসংলগ্ন এলাকার সংখ্যালঘু পরিবার। আবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা ও বসিরহাটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বসবাস বেশি। লকডাউন পর্বের মধ্যেই ১ মাস ধরে রোজা পালন করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সোমবার ঈদ-উল-ফিতর উৎসব। লকডাউন পরিস্থিতিতে ঈদের নামাজ পড়তে হবে বাড়িতেই।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় কোলাকুলি করাতেও বিধিনিষেধ রয়েছে। অন্যদিকে আম্ফান বিপর্যয়ের পর বারাসাত, দেগঙ্গা, হাড়োয়া, বাদুড়িয়া, বসিরহাট সহ বিস্তীর্ণ সংখ্যালঘু অঞ্চলে ঈদগাহ ময়দানগুলি অবহেলায়। করোনা ও আম্ফান দুই ঘায়ে নিরন্ন ও নিরাশ্রয় বহু মানুষ। কোথাও কোথাও মসজিদের টিনের চাল উড়ে পড়েছে। রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালিয়েছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়। খুশির ঈদ তাই বড়ই ম্লান।