কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ঘোড়ামারা দ্বীপ আম্ফান তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপ। ঘূর্ণিঝড়ের ২ দিন পর ত্রাণশিবির থেকে বাড়ির পথে পা বাড়ালেন ঘোড়ামারার প্রায় ৬৫০ বাসিন্দা। ছোট্ট ওই দ্বীপটিতে নদীবাঁধ ভেঙেছে। জল ঢুকেছে লোকালয়ে। গবাদি পশু, হাঁস, মুরগি, ঘরবাড়ি ফেলে রেখে প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণশিবিরে যেতে হয়েছিল সেখানকার মানুষদের।
ঘরে ফিরে দেখছেন, তীব্র আম্ফানের ছোবলে নিশ্চিহ্ন-প্রায় ঘরবাড়ি। ঝড়ের সতর্কতা জারি হলেই ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দাদের আস্তানা হয় সাগরের ত্রাণশিবিরে। তবে আয়লার পর আম্ফান বিপর্যয়েও বাঁচার তাগিদে লড়াই জারি রয়েছে ওদের। ঘরবাড়ি ছাড়াও ঝড়-বৃষ্টির দাপটে মজুত করে রাখা চাল-ডালটুকুও রেহাই পায়নি। নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এই বিপর্যয়ের পর মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়েই উদ্বিগ্ন ঘোড়ামারার মানুষ। ধান, পান আর চিংড়ির মিনই ওখানকার মানুষের রুটিরুজি। ওই দ্বীপেই প্রায় ১৫০০ পানের বরজ একেবারে ভেঙে মাটিতে মিশে গিয়েছে। আর্থিক সঙ্কট এবার চূড়ান্ত মাত্রা নেবে তা এখনই টের পেয়েছেন ঘোড়ামারার বিপর্যস্ত মানুষরা।