কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: পঞ্জিকা বিশারদদের মতে, এবার দেবী দুর্গার দোলায় আসা ও গজে গমণের মধ্যে রয়েছে হতাশা। তবে একরাশ আশার আলোও থাকছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মড়ক ও অস্থিরতা যেমন লেগে থাকবে, তেমনি দেশের শস্য ও জলভাণ্ডার থাকবে পূর্ণ। শাস্ত্রবিশারদরা জানিয়েছেন, মা দূর্গা দোলায় এলে বা ফিরে গেলে গোটা বিশ্বজুড়ে মড়ক দেখা দেয়। লেগে থাকে নানা বিপর্যয়। ‘গজ’ ও ‘নৌকা’-কে এক্ষেত্রে বলা হয়েছে শুভ লক্ষণ।
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মা গজে এলে বা ফিরে গেলে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এই প্রসঙ্গে শাস্ত্রবিশারদরা আরও জানিয়েছেন, দূর্গা মায়ের গজে গমনের ফলে অর্থনৈতিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটবে এমনটা আশা করাই যায়। পঞ্জিকা ও শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, দেবী দূর্গার দোলায় আগমনের ফল হিসেবে এবার দেশের মানুষের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ। মড়ক ও মহামারীর মতো ঘটনা ঘটবে দেশব্যাপী।

আবার সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা অস্থিরতাও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাণহানি, অকাল বর্ষণ, ভূমিকম্পের মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার বলা হয়েছে, দেবী দূর্গার গজে গমনের ফলে পূর্বের অবস্থা ধাপে ধাপে অনেকটাই শিথিল হয়ে আসবে। এমনকী পৃথিবীব্যাপী পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। শস্যভাণ্ডার পূর্ণ হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। শস্য-শ্যামলা হয়ে উঠবে চারিদিক। মন্দা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।
অন্যদিকে, শাস্ত্রবিশেষজ্ঞদের একটা অংশের বক্তব্য, দেবী দূর্গার বিভিন্ন যানে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাল-মন্দের মিশ্রণ থাকে। মা আসেন সন্তানদের মঙ্গলার্থেই। এক্ষেত্রে ‘চন্ডী’-তে বলা হয়েছে, যখনই বাধা-বিপত্তি পৃথিবীতে আসবে, আমাদের উদ্ধার কার্যে অবতীর্ণ হবে দেবী দূর্গা।