কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিলেন। তাঁর মতে, দেশের মানুষের হাতে খরচ করার মতো নগদ অর্থের যোগান বাড়িয়ে চাহিদা তৈরি করতে পারলেই করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।
আবার রাহুল গান্ধির সঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, দেশে গরিব, নিম্নবিত্ত বিচার না করে ভারতের নিম্ন আয়ের ৬০% জনগণের হাতে খরচ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় কিংবা লকডাউন উঠে গেলে তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের মনে ভরসা বাড়বে এবং তাঁরা ওই টাকা খরচ করলে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে শিল্পসংস্থাগুলির পক্ষে তা উপযোগী হবে।
অন্যদিকে অর্থনীতিবিদ ওই বিষয়েই সাবধান করে জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে সরকার যেন তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। এ সম্পর্কে তাঁর আরও বক্তব্য, পণ্য পরিষেবার যোগান না বাড়লে ওই বর্ধিত চাহিদা মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি তৈরি করবে। মুক্তির পথ দেখানোর জন্য অভিজিৎবাবু জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই ভারতীয় অর্থনীতিতে ক্রেতা চাহিদা কম ছিল। লকডাউনজনিত পরিস্থিতিতে তা আরও কমে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি জানান, খরচ বাড়ানোই অর্থনীতিকে দ্রুত করোনা প্রভাবমুক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায়। উল্লেখ্য, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন দেশের গরিব মানুষের হাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা নগদ পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের বক্তব্যের সুরেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আধারের মাধ্যমে গণবণ্টনের যে পরিকল্পনা কয়েক বছর পূর্বে করা হয়েছিল, তা কার্যকর হলে এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্যসঙ্কট মেটাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করত।