কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউনে পঞ্চায়েত স্তরে কর আদায় বন্ধ। এই কর যাঁরা আদায় করেন, তাঁদের দুরবস্থা বেড়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত স্তরে কর আদায়কারীরা কর সংগ্রহ করে তার থেকে যে কমিশন পান মূলত এটাই তাঁদের আয়ের উৎস। এখন সেই উপার্জন বন্ধ হওয়াতে সঙ্কট বেড়েছে তাঁদের। এর জেরে কয়েক হাজার পরিবার বিপাকে।
গ্রামীণ কর আদায়কারীদের একটা অংশ জানিয়েছেন, করোনাজনিত পরিস্থিতিতে রোজগার একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের কয়েক হাজার পরিবার। জানা গিয়েছে, এরাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত ট্যাক্স কালেক্টিং সরকার নাম যে পদ রয়েছে, ওই পদাধিকারীরা সাধারণভাবে এলাকার জমি ও বাড়ির কর আদায় করে থাকেন।
পাশাপাশি পঞ্চায়েতে ট্রেড ট্যাক্স বা ব্যবসায়িক কর আদায় করারও দায়িত্ব পড়ে তাঁদের ওপর। তাঁদের বেতন মাসে ৬০০ টাকা। যা দেওয়া হয় রাজ্যের ট্রেজারি থেকে। ট্যাক্স কলেক্টরদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বেতনের সঙ্গে আমরা কর আদায়ের ওপর নির্ভর করে কমিশন পাই। বাজার দরের তুলনায় মাসিক রোজগার অনেক কম। সবমিলিয়ে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সঙ্কটে দিনগুজরান করছেন পঞ্চায়েত স্তরের বহু কর আদায়কারী।