কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় মেনে মিষ্টির দোকান খোলা হলেও বিক্রিবাটা সেভাবে নেই। ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের লোকসানের বহর মিষ্টির ব্যবসায়। এবছর মুখ থুবড়ে পড়বে এই ব্যবসা এমনটাই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
সূত্রের খবর, ক্ষয়-ক্ষতি সামলাতে সরকারের কাছে অন্তত মাসখানেকের বিদ্যুৎ বিল মকুব-সহ বিনা সুদে বা স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানাতে চলেছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, লকডাউন পর্বে প্রাথমিক পর্যায়ে মিষ্টির দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল। প্রতিদিন দুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দোকান খোলার অনুমতি দেয় প্রশাসন। এরপর প্রথমদিকে ৪ ঘন্টা খোলার অনুমতি থাকলেও পরে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলার অনুমতি পাওয়া যায়। অন্যদিকে ৫০ শতাংশেরও বেশি দোকান খোলা এখনও সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের আরও খবর, বহু ছোট দোকানের পাশাপাশি অনেক বড় দোকানও বন্ধ রয়েছে। বাংলা নববর্ষ, অক্ষয় তৃতীয়া, চড়ক বা জামাইষষ্ঠীতে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির অধীনে রাজ্যের প্রায় লক্ষাধিক বিক্রেতা রয়েছেন বলে জানা যায়। এক্ষেত্রে মিষ্টান্ন বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দোকানে হাওড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া-সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও কারিগররা এসে কাজ করে থাকেন। বর্তমানে তাঁদের একটা বড় অংশই রয়েছেন বাড়িতে। বহু দোকান খোলা হলেও লোকসানের কারণে অনেকে বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও খবর।