কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ১৬ বছর আগে নামকরণ করা হয়েছিল “আম্ফান”।তার বাংলায় আছড়ে পড়া দেখলাম। ২০০৪ সালে ঝড়ের এই নামটি রেখেছিল ছিল থাইল্যান্ড। আম্ফান শব্দের অর্থ আকাশ। বাংলায় এটি ত্রাস হয়ে উঠল। তৈরি হওয়া ঝড়ের তালিকার এটাই ছিল শেষ ঝড়।আম্ফান-এর পূর্বে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-র মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এই ঝড়ের নামকরণ করে বাংলাদেশ। ফণির অর্থ হল সাপ। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী ঝড়গুলির তালিকাও প্রকাশিত।বিশ্বব্যাপী প্রতিটি সমুদ্র অববাহিকায় যে ঘূর্ণিঝড়গুলি তৈরি হয় তা আঞ্চলিক ভাবে আবহাওয়া কেন্দ্র এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে সেগুলির নামকরণ করা হয়। ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিকাল অর্গানাইজেশন, ইউনাইটেড নেশন্স ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর বা ডব্লিউএমও ইস্কাপের তালিকাভূক্ত দেশগুলি বিভিন্ন ঝড়ের নাম প্রস্তাব করে থাকে। সেই তালিকায় ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের নাম রয়েছে। এই সব অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকে এই দেশগুলিই। আবার ২০১৮ সালে WMO আর ESCAP-এর তালিকায় আরও পাঁচটি দেশকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচটি দেশ হল- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর য়েমেন। জানা যায় , এপ্রিলে প্রকাশিত হওয়া নতুন তালিকায় ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম এসেছে । এই তালিকায় ১৩টি দেশের থেকে ১৩টি প্রস্তাবিত নাম জমা পড়ে।তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে , আম্ফান-এর পর ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম হল- নিসর্গ (বাংলাদেশ), গতি (ভারত), নিভার (ইরান), বুরেভি (মালদ্বীপ), তৌকতাই (মায়ানমার) ও ইয়াস (ওমান)।