কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অঙ্কে মিলিয়ে দুপুরের পর ধেয়ে এল “আম্ফান”। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা যত নেমেছে, ততই বেড়েছে ঝড়ের দাপট। আম্ফানের আস্ফালনে তছনছ হয়ে গিয়েছে গাছপালা, ঘরবাড়ি, ইলেকট্রিক পোল-সহ সব কিছু। বোরো ধান, সবজি-সহ সব ফসলের ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয় সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন অঞ্চল-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, বসিরহাট ও হাসনাবাদে ঝড়ের তীব্র দাপট ছিল। জেলার অন্যান্য জায়গাতেও বেড়েছে তীব্রতা। সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের দাপটে নদীর জলোচ্ছ্বাস বেড়ে কয়েকটি জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে। বসিরহাট মহকুমার গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতায়। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের একাধিক নদীবাঁধে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেখানকার সাধারণ মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও। বিদ্যাধরী, ইছামতী ও রায়মঙ্গল-সহ একাধিক নদী প্লাবিত হয়ে এবং বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে পড়ে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক হাজার কাঁচাবাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। কোথাও কোথাও উড়ে গিয়েছে টিনের চাল। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতি কোথায় কতটা, তা এখনও স-বিস্তারে জানা যায়নি। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব ২০০৯ সালের আয়লা ঝড়কে মনে করিয়ে দিয়েছে মানুষকে। আবারও নতুন করে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হল মানুষ।