কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : “জাতীয় বিপর্যয়” কাকে বলে, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আইনে বা প্রশাসনিক নিয়ম মোতাবেক কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে “জাতীয় বিপর্যয়” বলে ঘোষণা করার কোনও ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল বা রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলের নির্দেশিকাতেও এরকম কোনও ব্যবস্থা নেই। উল্লেখ করা যায়, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটিকে এর প্রকৃত সংজ্ঞা ঠিক করার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছিল। সে কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে জানা যায়। আবার দশম অর্থ কমিশনের সুপারিশ- প্রতিটি দুর্যোগের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদাভাবে ক্ষতির মাত্রা এবং রাজ্যের মোকাবিলা করার ক্ষমতা খতিয়ে দেখতে হবে। অন্যদিকে আরও জানা গিয়েছে, আম্ফান ঘূর্ণিঝড়কে “জাতীয় বিপর্যয়” ঘোষণা করা হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের থেকে সহযোগিতার বার্তা দিলেও এখন অবধি “আম্ফান” “জাতীয় বিপর্যয়” বলে ঘোষণার দাবি ওঠেনি। করোনা পরিস্থিতিতে “জাতীয় বিপর্যয়” চলছে। তার ওপর এই আম্ফান বিপর্যয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে “আম্ফান”-কে “জাতীয় বিপর্যয়” ঘোষণার দাবি তোলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত আন্দাজ করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে গুজরাটের ভূমিকম্প এবং ১৯৯৯ সালে ওড়িশার সুপার সাইক্লোনকে ক্যালামিটি অব আনপ্রিসিডেন্টেড সিভিয়ারিটি আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। আবার ২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ডের হড়পা বান ও ২০১৪ সালের অন্ধ্রপ্রদেশের ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ-কে “সিভিয়ার নেচার”-এর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানা যায়। জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার পর কী হওয়ার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে ৪ ভাগের ৩ ভাগ টাকা দিয়ে থাকে কেন্দ্র। এক ভাগ রাজ্যের। তহবিলে ঘাটতি পড়লে জাতীয় আকস্মিক দুর্যোগ তহবিল বা “ন্যাশনাল ক্যালামিটি কনটিনজেন্সি ফান্ড” থেকে টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এক্ষেত্রে পুরোটাই কেন্দ্রের টাকা। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঋণ শোধের ক্ষেত্রে সুরাহা ও কম সুদে নতুন ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও বিবেচনা করে দেখা হয়।