কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : বাদাবন বাঁচাতে লড়ছেন এক ভূগোলের শিক্ষক। ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে ১০ বছর ধরে লড়ছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রের খবর, নদীর জলে ভেসে আসা ম্যানগ্রোভের বীজ সংগ্রহ করে লক্ষাধিক চারাগাছ তৈরি করেছেন উমাশঙ্কর মণ্ডল নামে ওই শিক্ষক। উল্লেখ্য, ম্যানগ্রোভ “আম্ফান”-এর তাণ্ডব থেকে বহু গ্রামকে বাঁচিয়েছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়নি। আবার ঘর-বাড়ি হারিয়ে আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন অগণিত মানুষ। ওই সব দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছেন সুন্দরবনের ওই শিক্ষক। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বহু মানুষও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবার সাতজেলিয়া দ্বীপের চরঘেরির বাসিন্দা উমাশঙ্কর বড় হয়েছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার অতি নিকটেই তাঁর বাড়ি। কর্মসূত্রে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে থাকেন। সেখানকার একটি স্কুলে ভূগোলের শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্ত্রীও স্কুলের শিক্ষিকা। গ্রামকে ভোলেননি। তিনি বুঝেছিলেন, বাদাবনের মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র ম্যানগ্রোভই।
এ পর্যন্ত রাজ্যে যত ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে তার প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সেই ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হলে বিপদ বাড়বে আরও। ম্যানগ্রোভ কমে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়ছে সুন্দরবন। “আয়লা”-র তাণ্ডবে তা প্রথম অনুভব করা গিয়েছিল। সেই থেকেই শিক্ষা নিয়ে ঝড়ের হাত থেকে সুন্দরবনের মানুষকে বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর কাজ শুরু করেছিলেন ওই শিক্ষক।