কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : “আম্ফান” দাপটে ইছামতীর বাঁধ ভেঙেছে বহু জায়গায়। ব্যাপক ক্ষতির মুখে ওই সব এলাকার সব্জি চাষিরা। বসিরহাট মহকুমার একটা বড় অংশ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে সব্জির চাহিদা পূরণ করে থাকে। অন্যদিকে গ্রামীণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ সারাবছর সব্জির চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন।
উল্লেখ্য, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পটল, ঝিঙে, বেগুন, লঙ্কা ও উচ্ছে-সহ বিভিন্ন চাষ হয়। আবার বিঘার পর বিঘা কলা চাষ হয়। এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত সব্জির খেত। আবার ইছামতীর জলে ডুবে গিয়েছে ওল খেতও। এই অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে জীবন বাঁচবে তা নিয়ে গভীর চিন্তায় কৃষকরা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নোনা জলে জমির যা দশা হয়েছে, আগামী ৫ বছর ওই জমিতে ফসল ফলানো যাবে কিনা, তা নিয়েই সংশয়। কিছুদিনের মধ্যে ওল তুলে বাজারে নিয়ে যেতে পারতাম, তা আর হল না। জোড়া ধাক্কায় মাঠের ঝিঙে, পটল ও পুঁইশাক বিক্রি করে সংসার চালানো মানুষগুলির এখন বড় দুর্দশা।
এখন তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, সরকার আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে, আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। বুলবুলের তাণ্ডবেও ক্ষতি হয়েছিল। তবে এবারের ক্ষতি যেন পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে কৃষকদের।