কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় “আম্ফান” সতর্কতায় দ্বীপ থেকে প্রসূতিদের আনা হয়েছে হাসপাতালে। সূত্রের খবর, ওই উপকূলবর্তী অঞ্চল সমূহে “আম্ফান”-এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কার কথা ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঝড়ের তাণ্ডবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হলে প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে আসাও অসম্ভব হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য দপ্তর। তাই একাধিক দ্বীপে বিচ্ছিন্ন গোসাবা ব্লকের মধ্যে থাকা ৩৪ জন গর্ভবর্তী মহিলাকে সরকারি উদ্যোগে নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে। উল্লেখ করা যায়, নদী এলাকার গোসাবা ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা একে অপরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন অনেক নদী দিয়ে। জানা গিয়েছে, গোসাবা, রাঙাবেলিয়া, বালি, বিপ্রদাসপুর, পাঠানখালি, কচুখালি, সাতজেলিয়া, লাহড়পুর, ছোট মোল্লাখালি, কুমিরমারি, রাধানগর-তারানগর ও আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গর্ভবর্তী মায়েদের প্রসবের জন্য নদী পেরিয়ে যেতে হয় গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল বা ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এক্ষেত্রে আগাম তৎপরতা নিয়েছে প্রশাসন।