Home Miscellaneous “আম্ফান” ভয়ে কম্পিত নদী-সমুদ্রে ঘিরে রাখা ঘোড়ামারা দ্বীপ

“আম্ফান” ভয়ে কম্পিত নদী-সমুদ্রে ঘিরে রাখা ঘোড়ামারা দ্বীপ

75
0
Ghoramara
Ghoramara

কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : নদী-সমুদ্রে মোড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘোড়ামারা দ্বীপ। এখানকার মানুষের জীবনচরিত বড়ই ভিন্ন। খুবই কষ্টকর সেই জীবন। “আম্ফান”-এর ভ্রূকুটি এখন শিহরে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দাপট বাড়াবে বলে ফের ত্রাণ শিবিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ঘোড়ামারার বাসিন্দারা। প্রায় ৭০০ জন বাসিন্দাকে এখন অবধি শিবিরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। অনেককে ধাপে-ধাপে সরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় মানুষ-সহ প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, মানচিত্র অনুযায়ী দেখা যায়, চারদিকে নদী ও সমুদ্র ঘিরে রেখেছে ঘোড়ামারা দ্বীপকে। আবার পূর্বদিকে বটতলা, পশ্চিমদিকে হুগলি, উত্তরদিকে মুড়িগঙ্গা নদী। দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। পাশাপাশি বাগপাড়া, মন্দিরতলা, রায়পাড়া, চুনপুলি ও হাটখোলা-সহ ৫টি এলাকা নিয়ে ঘোড়ামারা পঞ্চায়েত অবস্থিত। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে জনসংখ্যা ছিল ৬ হাজার। এখন সেখানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার। আয়লার পরবর্তী সময়ে অনেকেই এখন এই দ্বীপভূমিতে থাকতে চান না। ঝড়-ঝঞ্ঝার ভয়ে আতঙ্ক বাড়ে। সেখানকার মানুষের ভয় হয়, তলিয়ে যাবে না তো গোটা দ্বীপ। ওই দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের জীবিকা বলতে মিন ধরা, পান ও ধান চাষ। স্থানীয় সূত্রের আরও খবর, বটতলা নদীর ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার বিঘা ধানের জমি, পুকুর ও খাল-বিল। ভিটেমাটি ও ভূমিহারা হয়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব।
স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দ্বীপের নাম ঘোড়ামারা হওয়ার পিছনে রয়েছে এক কাহিনী। ব্রিটিশ আমলে কাকদ্বীপ থেকে এক সাহেব সরকারি কাজে নৌকায় করে তাঁর ঘোড়াকে নিয়ে দ্বীপে পৌঁছেছিলেন। রাতে তাঁবুর বাইরে থেকে সেই ঘোড়াকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বাঘ। কথিত আছে, এরপর থেকে ওই দ্বীপের নাম হয় ঘোড়ামারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here