কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: নতুন আশার আলো সিঙ্কোনা চাষে। বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতিতে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের এখন বিশ্বব্যাপী চাহিদা। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মংপুর কুইনাইন প্রস্তুতকারী সরকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্কোনা প্ল্যান্টেশন ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বাজারে সিন্থেটিক ক্লোরোকুইনের চাহিদা বাড়লেও এই সংস্থাটির বর্তমানে করুণ অবস্থা।
সূত্রের খবর, ২০০১ সালে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কুইনাইন গাছের ছাল থেকে তৈরি কুইনিন, কুইনিডিন, সিনকোডিন স্বল্প পরিমাণে মুম্বাইয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি কিনে থাকে। ৫ হাজার কর্মী নির্ভর এই সংস্থার বেতনও ঠিকমতো হয় না। রাজ্য সরকারকে গড়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ভর্তুকিও দিতে হয়। করোনাজনিত পরিস্থিতিতে এবার বদলের আশা দেখা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নবান্নে বণিকসভা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসংস্থা ও হোটেল ও পর্যটন সংস্থাগুলির সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠকেও সিঙ্কোনা চাষের প্রসঙ্গ ওঠে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন রাজ্যও পর্যাপ্ত মজুত করছে বলে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গে সিঙ্কোনা চাষের বিষয়টি এবার বিশেষ গুরুত্বও পাচ্ছে।
এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে সিঙ্কোনা চাষ বন্ধ রয়েছে। এটা নিয়ে উত্তরবঙ্গের বণিকসভাগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি সিঙ্কোনা চাষ চালু করতে। এখান থেকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের কাঁচামাল পাওয়া যাবে। এই চাষের জন্য কী কী যন্ত্রপাতি লাগবে তার একটি তালিকাও জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা আনার ব্যবস্থা করব।
উল্লেখ্য, ক্লোরোকুইন তৈরিতে দীর্ঘ সময় ধরে দেশে পথিকৃৎ ছিল আচার্য প্রফুল্ল রায় প্রতিষ্ঠিত দেশে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারক এই সংস্থাটি। কুইনাইন প্ল্যান্টেশনের ডিরেক্টর স্যামুয়েল রাই জানালেন, এবার হয়তো আমাদের সংস্থাটি নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু হবে। নতুন করে গবেষণার কাজ বাড়বে। মধ্যপ্রদেশ, কানপুর থেকে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি আমাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে।