কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: লকডাউনে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘরবন্দি পরিস্থিতি। দেশব্যাপী লকডাউন পর্ব চলছে। লকডাউন মেয়াদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা। ক্রীড়াক্ষেত্র স্তব্ধ। ফুটবলারদের একপ্রকার ছুটি। অনেকে আবার ফিজিক্যাল ট্রেনারের পরামর্শ মেনে চলছেন। তবে বাংলার অনেক ফুটবলার রয়েছেন এইসময় গাইডহীন। অনুশীলন বন্ধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শুরু হয়ে যাবে গোটা ফুটবল মরশুম। শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের ফুটবলারদের সহযোগিতার কথা ভেবেই বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হল —
এইসময় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ট্যাটিক সাইকেল থাকলে তা সময় মেনে ১৫-২০ মিনিট চালাবেন। এইসময় প্রায় ১ লিটার জল পান করাও প্রয়োজন। স্ট্যাটিক সাইকেল না থাকলে ঘরের মধ্যে বা ছাদে হালকা জগিং করতে পারেন। ফুটবলারদের রোজই অল্প পরিমাণে স্ট্রেচিং করা প্রয়োজন। এরফলে কাফ মাসেল শক্ত হয়ে যাবে না। শরীর সচলও থাকবে। হ্যামস্ট্রিং সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। আবার কোমরের পেশির সঞ্চালনও হবে। শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সকাল-বিকেল নিয়ম মেনে পুশ-আপ করবেন। ডাম্বেল নিয়ে প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট শরীরচর্চা করাও যেতে পারে। তা না থাকলে ২ লিটার জলের বোতল বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আবার ঘরের মেঝেতে মোটা চাদর বিছিয়ে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজও করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে দম নেওয়া ও ছাড়ার বিষয়টি। প্রায় ৫ মিনিটে সিঁড়ি ভাঙাও যেতে পারে। তবে হাঁটুর কোনও চোট থাকলে তা করবেন না। স্কিপিং নিয়মিতভাবে করাও যেতে পারে। বাড়ির ছাদ বা ব্যালকনি বা উঠোনে বিকেলের দিকে স্পটজাম্প প্র্যাক্টিস করলেও উপকার পাওয়া যাবে। ঘরে বসে থাকার সময় পেটে মেদ জমে যেতে পারে। এইসময় পেটের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামগুলি করুন। প্রয়োজন হলে যোগাসনও করতে পারেন। লকডাউনের সময় পর্বে একদিকে বন্দি জীবন, অন্যদিকে গরম পড়ছে। খাদ্যাভাসের দিকে বিশেষ নজর দিন।
প্রতিদিন অন্তত ৪-৫ লিটার জল পান করা উচিত। আপেল, বেদনা, ন্যাসপাতির মতো ফল এইসময় খাওয়া প্রয়োজন। পাতিলেবুর শরবতও খেতে হবে। ভিটামিন-সি’র মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে লেবু খুবই উপকারী। নিয়মিত শাক-সবজিও খেতে হবে। দিনে ৩০০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড গ্রহণ করতে পারলে ভাল। এইসব পরামর্শগুলি মেনে চললে লকডাউন ওঠার পর ফুটবলারদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না।