কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে ভরা সংসার ছিল বিপুল রায়ের। অন্যদিকে সংসার গড়ার স্বপ্ন ছিল রাজেশের। সংসার ও স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। লাদাখে সীমান্ত-সংঘাতে দুই পশ্চিমবঙ্গের দুই সেনা জওয়ান নিহত। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্থানীয় সূত্রের খবর, বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামের এক চিলতে টালির বাড়িতে বেড়ে ওঠা রাজেশ ওরাংয়ের। বাবা সুভাষ ওরাং ভাগে জমি চাষ-আবাদ করেন। অভাবের সংসারে ৩ সন্তানদের মধ্যে রাজেশই বড়। সেনার উর্দি গায়ে চড়ানো ছিল তাঁর ছোটবেলার শখ। ৫ বছর আগে রাজেশ যোগ দিয়েছিল সেনাবাহিনীতে। এক বোন রাজেশ্বরীর বিয়েও দেন তিনি। ছোট বোনের বিয়ের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, টালিবাড়ির জায়গায় এখন ইটের গাঁথনি। একতলার ওই বাড়িটির অন্দরমহলও সেজে উঠছিল। বাড়ি রং করিয়ে বাগদত্তাকে ঘরে আনার ভাবনাও ছিল রাজেশের। ওই বাড়ির উঠোনে এখন গ্রামবাসীদের ভিড়। কফিনবন্দি সেনার দেহ আসার প্রতীক্ষা। শেষ দেখার অপেক্ষায় তাঁর বাগদত্তাও। জানা গিয়েছে, সিউড়ির ওই কন্যা রাজেশের শহিদ হওয়ার খবর পাওয়ার পর বেলগড়িয়ায় চলে আসেন তিনি। দুই পরিবারের কথাও হয়েছিল বিয়ে প্রসঙ্গে।