কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনা বিপর্যস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন। এর জেরে কর্মহীন দেশের বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে প্রকৃতিও বিমুখ। তছনছ হল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার ধানের ফসল। স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে একাধিক এলাকায় বোরো চাষ কার্যত দফারফা। ৫ মিনিটের তান্ডবে জেলাব্যাপী বোরো চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এইসময় কৃষকদেরও মাথায় হাত দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, সাময়িক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা জমির ধান মাথা নুইয়ে পড়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর অবশ্য রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে। ওই জেলার সহ-কৃষি অধিকর্তা প্রভাত কুমার বসু জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জেলার নারায়ণগড় ব্লকের কিছু এলাকা, কেশপুর ব্লকের কিছু এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। এই বিষয়ে কৃষি অধিকর্তা আর জানিয়েছেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে প্রথমে বীমা কোম্পানিগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে কৃষকরা ফসলের ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লককেও ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, চলতি বোরো মরশুমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বোরো চাষ বা খরিফ চাষ হয়েছে ২ লক্ষ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। যারমধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। কালবৈশাখীর সূচনা লগ্নে এই বিপর্যয়ে জেলার কৃষকদের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।