কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: কলকাতা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আম্ফান প্রলয়ে কয়েক হাজার গাছ ধ্বংস। কলকাতা শহরের বড় মাপের সবুজ উদ্যান বলতে পরিচিত রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবর, ইকো পার্ক ও বনবিতান। শহরের ওই চারটি উদ্যানে হিসেবে অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গাছের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২০ হাজারের ওপরে। তবে এই ৪ সবুজ উদ্যানে আম্ফান দাপটে গাছ পড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০০-র কাছাকাছি।
কলকাতা, বিধাননগর, নিউটাউন প্রভৃতি এলাকায় গাছ পড়েছে প্রায় ২০ হাজারের মতো। সবমিলিয়ে ছবিটা পরিষ্কার। পরিবেশ ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সঠিক গাছ নির্বাচন ও তার যথাযথ পরিচর্যা কতটা কাজে আসতে পারে, তা এখন উপলব্ধি হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাঁদের আরও বক্তব্য, শহরের রাস্তার দু’ধারে যেসব গাছ ভেঙে পড়েছে, তার বেশিরভাগই কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কাঠবাদাম, ইউক্যালিপ্টাস প্রভৃতি। তীব্র ঝড় প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এসব গাছেদের তুলনামূলক অনেক কম।
পাশাপাশি শহরের রাস্তায় ওইসব গাছের সঠিক পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ জানিয়েছেন, সবুজে ঘেরা উদ্যানগুলিতে বিভিন্ন গাছের ডাল নিয়ম মেনে কাটা হয়। আবার গাছের চারা বসানোর সময় নির্দিষ্ট দূরত্ববিধিও মেনে চলা হয়। উদ্যানগুলিতে শিমুল, শিরীষ, শাল, অশ্বথ প্রভৃতি গাছের সংখ্যা বেশি। এইসব গাছগুলি তীব্র ঝোড়ো হাওয়াতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশের আরও বক্তব্য, সুন্দরবনের বাদাবন আম্ফান তাণ্ডবের প্রাথমিক ধাক্কা না সামলালে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হত কলকাতা ও তৎসংলগ্ন শহরতলী। একথা বলাই যায়, শহরের উদ্যানগুলো রক্ষা পেয়েছে মূলত গাছেদের জন্যই। কলকাতা শহরের সবুজ বাঁচাতে পরিকল্পনামাফিক গাছ লাগানো এখন সবারই দায়িত্ব ও একমাত্র কর্তব্য হওয়া উচিত। আমাদের আশার আলো দেখতে পারে একমাত্র গাছেরাই।