কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমায় অযোধ্যা পাহাড়ে প্রথাগত শিকার উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবে সামিল হন সাঁওতাল আদিবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, অযোধ্যা পাহাড়ের গড়ধাম বুরু মেলায় পূজার্চনাও হয়। আদিবাসীদের এই উৎসবে বুনো শুয়োর, খরগোশ, ময়ূর হত্যা চলে। রাতভর চলে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বনদপ্তর শিকার থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার জন্য পাহাড়ে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। গতবছর শিকার করা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এবার চেহারা ভিন্ন। নির্জন-নিস্তব্ধ পাহাড়ে নেই শিকারীরাও। পর্যটকেরও আনাগোনা নেই। পুরুলিয়া বনবিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিকার না করার জন্য মানুষকে সচেতন করে আমরা ঢালাও প্রচার করেছি। পুলিশকে নিয়ে নজরদারি চালিয়ে গিয়েছি পাহাড়ে ওঠার প্রতিটি পথে।
পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ যাতে শিকার না করেন, সেজন্য প্রচার চালানো হয়। তাতে ফল পাওয়া গিয়েছে। মানুষ জঙ্গলমুখী হননি। অরণ্য এখন শান্তির বার্তা দিচ্ছে। নানা ধরনের পাখি, বন্য জন্তু-জানোয়ারদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ের পরিবেশকে নিবিড়ভাবে চেনা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই প্রথম অযোধ্যা পাহাড়ে শিকার হল না। বুদ্ধপূর্ণিমায় প্রাণী হত্যাও হয়নি পাহাড়ে। আর কোনও বুদ্ধপূর্ণিমায় ঝরবে না রক্ত।