কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: কলকাতা সহ দেশের সমস্ত শহরগুলিতে অফিস এবং খুচরো বিপণির জন্য জায়গার চাহিদা তলানিতে পৌঁছেছে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল। দীর্ঘ লকডাউনজনিত পরিস্থিতিতে কলকাতাতে চাহিদা একেবারে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রিয়েল এস্টেট বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে তাঁদের বক্তব্য, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে করোনা সংক্রমণজনিত পরিস্থিতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে সরকারের উচিত শীঘ্র লকডাউন প্রত্যাহার করা।
একটানা দেড় মাসের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে লকডাউনে গোটা দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক কাজকর্ম স্তব্ধ। এবিষয়ে আরও বলা হয়েছে, টানা লকডাউনে একদিকে ক্রেতা চাহিদা শূন্য। অন্যদিকে, এর প্রভাবে চাকরি ছাঁটাই ও বেতন হ্রাস সমস্যা বাড়াবে। এইসময় কোনও ব্যবসায়ী নয়া বিপণি খোলার পথে হাঁটবেন না। সূত্রের আরও খবর, লকডাউন পরিস্থিতিতে অফিস ও দোকান না খোলায় ব্যবসা শূন্যে ঠেকেছে। আবার সমস্ত পরিষেবা সংস্থার কর্মীদের ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম করাচ্ছে।
তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম এখন প্রায় ৮৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এরপরও সেই ধারা অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা থাকছে। কর্মী সংখ্যা নিয়ে এদিকে ভারতের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস ইঙ্গিত দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তারা তাদের প্রায় ৫ লক্ষ কর্মীর ৭৫ শতাংশকে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম নতুবা রিমোট লোকেশন থেকে কাজ করাবে। এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনীতি না এগোনোর সম্ভাবনাই বেশি থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।