কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনার সঙ্গে যুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে দৃঢ় মানসিকতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট।
কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্তূপাকৃতি আবর্জনা। সাফাইকর্মীরা পরিষ্কার করতে নারাজ। কোনও অবস্থাতেই সাফাইকর্মীরা কাজে হাত লাগাতে চাননি। এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে ভয় ভাঙাতে নিজেই আসরে নামলেন হলদিয়া মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর বিশ্বাস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার সতীশ সামন্ত ট্রেড সেন্টারে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র তৈরি করে জেলা প্রশাসন। ওই সেন্টারের “ইনসিডেন্ট কম্যান্ডার” মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর বিশ্বাস। ওই কেন্দ্রটিতে কয়েক হাজার মানুষ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অনেকে ছাড়াও পাচ্ছেন। ওই কেন্দ্রে করোনা পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই আশঙ্কায় সাফাইকর্মীরা কাজ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। ১ সপ্তাহেরও বেশি ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। করোনা ভীতির শঙ্কা কাটাতে নিজেই পিপিই পড়ে বেলচা হাতে নেমে পড়লেন ডব্লুবিসিএস এই অফিসার।
তিনি হাত লাগানোর পরই বেসরকারি সংস্থার সাফাইকর্মীরা কাজে নেমে পড়লেন। এই কাজে মহকুমা শাসকের অফিসে দুই আধিকারিকও যুক্ত হন। এই সময় করোনা নিরসনে সৈনিক হিসেবে নতুন দিশা দেখালেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কিশোরবাবু।