কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে রাজ্যে শুরু রিগ্রিনিং কর্মসূচি। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আম্ফান”-এর তাণ্ডবে ১০ বছরের পুরনো একটি নিম গাছ পড়ে গিয়েছিল। সেই গাছটি যত্ন করে দপ্তরের নার্সারিতে রাখা ছিল। হরিশ পার্কে ওই নিম গাছটি মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে প্রতিস্থাপন করা হবে। গাছটির উচ্চতা প্রায় ১৮ ফুট। মুখ্যমন্ত্রী অনেকদিন ধরেই বন দপ্তর ও পুরসভাগুলিকে নিম গাছ লাগানোর উপর জোর দিতে বলছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, নিম শুধু দূষণই রোধ করে না। নিমপাতা স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারী। উল্লেখ করা যায়, ৯০-এর দশক থেকেই রাজস্থান প্রতি আধ কিলোমিটার দূরত্ব রেখে রাস্তায় নিম গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অন্যদিকে রেলও লাইনের দু-পাশে বনসৃজনে নিম গাছকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। দূষণ-প্রতিরোধী এই গাছ লাগানোয় গুরুত্ব বেড়েছে। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিও এই গাছ লাগানোর ব্যাপারে তৎপর। “আম্ফান” বিপর্যয়ের পর এবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিম গাছ লাগানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে চলেছে পুরসভা ও বন দপ্তর।