কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: মিষ্টির দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ফলে ১০ কোটি টাকার দুধ বিক্রি হচ্ছে দিনে। অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে উৎপাদনকারীদের। লকডাউনের জেরে উৎপাদনকারীরা পুরো দুধই ফেলে দিচ্ছিলেন। মিষ্টির দোকান খোলার সিদ্ধান্তের পর ৩০-৩৫ লক্ষ লিটার দুধ কাজে লাগাতে পারছেন। এই তথ্য তুলে ধরেছে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর। আবার এই দুধ বিক্রির ফলে লেনদেন হচ্ছে ১০ কোটি টাকারও বেশি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনে ৪ ঘণ্টা মিষ্টির দোকান খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। এই বাস্তব পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। রাজ্য প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রতিদিন ১৪০ লক্ষ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। মিষ্টান্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রায় ৫০ লক্ষ লিটার দুধ ব্যবহার করে থাকেন। রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন দুগ্ধ উৎপাদকরা।

করোনা পরিস্থিতিতে ক্রেতার অমিল হওয়া ও যানবাহন চলাচল না হওয়ার জন্য উৎপাদিত দুধ প্রায় সম্পূর্ণই ফেলে দিতে হচ্ছিল। এমতপরিস্থিতি দুধ উৎপাদন, সরবরাহ ও মিষ্টির দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে মিষ্টির দোকান, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি এই বিপর্যয়ে শিশু ও অসুস্থদের জন্য দুধের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ডেয়ারিগুলি থেকে তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হচ্ছে।
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেয়ারিগুলিতে প্রতিদিন দুধ লাগে ১২-১৫ লিটার। বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে যোগান কম হলেও এখনও প্রতিদিন ১০ লক্ষ লিটার দুধ ব্যবহার করছে ডেয়ারিগুলি।