কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের পর সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ ম্যানগ্রোভ অরণ্যের অনেক জায়গায় গাছের পাতা বিবর্ণ ও হলুদ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মৌসুনি দ্বীপের ম্যানগ্রোভ থেকে শুরু করে রায়দিঘির বাদাবনেও আম্ফান ঝাপটার পর বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে পাতা। কোথাও কোথাও পাতা হলুদ হয়ে শুকিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ছোট ছোট গাছের পাতাও ঝরে যাচ্ছে। সুন্দরবনের গবেষক-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লবনাক্ত জলেই বেড়ে ওঠে। নোনা জলে ঝাপটা সবসময়ই গাছেদের গায়ে লাগে। তবে এখন কেন এই গাছের পাতা বিবর্ণ ও হলুদ হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ধন্দ বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে সুন্দরবনের বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, সামুদ্রিক নোনা হওয়া ও জলের কারণে আম, কাঁঠাল সহ বিভিন্ন গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ম্যানগ্রোভ নোনা জলেই তাদের বিস্তার বাড়ায়। ওইসব গাছ কেন হলুদ হয়ে পড়ছে বা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে তার স্পষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রবল ঝড়ে ম্যানগ্রোভের শিকড় হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এভাবে ম্যানগ্রোভ হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেলে সুন্দরবনে বিরাট প্রভাব পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ম্যানগ্রোভের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রে আঘাত আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আবারও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যানগ্রোভ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছেন তিনি।