কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : লকডাউনের পূর্বেই দেশের অর্থনীতি বেহাল ছিল। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বর্ষপূর্তি। এই অবস্থায় সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ, গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩.১ শতাংশ। উল্লেখ্য, এই ৩ মাসের শেষ ৭ দিন লকডাউন ছিল। আবার গত আর্থিক বছরে, ২০১৯-২০ সালে বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশে আটকে থেকেছে। সূত্রের খবর, ২০০৮ সালের মন্দার পর ১১ বছরে আর্থিক বৃদ্ধি এত নিম্নমুখী হয়নি। অন্যদিকে নোট বাতিলের পূর্বে ২০১৬-১৭ সালের ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধির কার্যত অর্ধেক।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী জানা যায়, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯-২০ সালে রাজকোষ ঘাটতিও ৩.৮ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়নি। তা ৪.৫৯ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। উল্লেখ করা যায়, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চের মধ্যরাত থেকে দেশে লকডাউন জারি হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই ৩ মাসের ৯১ দিনের মধ্যে ৭ দিনের লকডাউনে বৃদ্ধির হার ৩.১ শতাংশে নেমে এসেছে। গোটা এপ্রিল-মে মাসের লকডাউনের পর অর্থনীতি কোন অবস্থায় পৌঁছছে তারও ইঙ্গিত মিলেছে। আবার শিল্প মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, এপ্রিলে ৮টি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উৎপাদন ৩৮.১ শতাংশ কমেছে।