কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: এবার লিচুর ফলন ভাল বলেও চাহিদা না থাকায় মাথায় হাত চাষিদের। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রতিবছর বারুইপুর ও জয়নগর এলাকা থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়। অন্যদিকে, শুধুমাত্র বারুইপুরে ৩০০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে অথবা বাড়ি-গয়না বন্দক রেখে বাগান লিজ নিয়েছিলেন। লিচুর ভাল ফলন হলেও করোনা বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে এখন তাঁদের মাথায় হাত।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে বারুইপুর ফলের এলাকা হিসেবে বিশেষ পরিচিত। পেয়ারা, লিচু, জামরুল, আম সহ বিভিন্নরকম ফলের চাষ করেন ওই এলাকার কয়েকহাজার কৃষক। এবার করোনার তান্ডবে লিচু ব্যবসায়ী ও তার সাথে জড়িত শ্রমিকদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বারুইপুরের কল্যাণপুর, শিখরবালি, রামনগর, শঙ্করপুর, মদারাট হরিহরপুর ও মল্লিকপুর পঞ্চায়েত এলাকায় মূলত লিচুর চাষ বেশি হয়।
আবার বারুইপুরের লিচুর চাহিদা দেশব্যাপী বেড়ে যাওয়ায় জয়নগরের বাংলার মোড়, পদ্মেরহাট, নুরুল্লাপুর ও মাসকারি এলাকাতে বাগান করে লিচু চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লিচুগাছের ফুল দেখে মালিকপক্ষকে অগ্রিম টাকা দিয়ে বাগান লিজ নেন। মে মাসের প্রথমে ফল পাকতে শুরু করলে গাছ থেকে পেড়ে সেই ফল বিক্রি হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভিনরাজ্য-সহ প্রতিবেশী দেশে লিচু পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
লকডাউন পরিস্থিতিতে বন্ধ পরিবহন। মরশুম শুরু হলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বেচা-কেনা। পার্শ্ববর্তী এলাকার ঘরবন্দি মানুষের কেনার সামর্থ্যও নেই। সবমিলিয়ে লিচুর চাহিদাও নিম্নমুখী।