কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: মৎস্য সংরক্ষণের জন্য এখন থেকে টানা ৬১ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়ম মেনে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেল মৎস্যজীবীদের। কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, পাথরপ্রতিমা, সাগর, কুলপি, রায়দিঘি, বাসন্তী, গোসাবা সহ বিভিন্ন জায়গার কোথাও ট্রলার ও নৌকা মেরামতের কারখানা খোলা নেই। সবই বন্ধ। আবার বন্ধ লেদ কারখানা থেকে শুরু করে বরফকলগুলিও। ফলে বিপাকে মৎস্যজীবী, ট্রলার মালিক সহ এই পেশায় যুক্ত ব্যক্তিরা।
স্থানীয়ভাবে অভিযোগ, ট্রলার, নৌকা, ডিঙি ও জাল মেরামত না হলে ৬১ দিন পর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য কেউ জলে নামতে পারবেন না। এক্ষেত্রে মাছের আকাল আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবী ও এই পেশার সাথে যুক্ত মানুষের আর্থিক দুরাবস্থা আরও বেড়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। মূলত এই মরশুমে ট্রলার তৈরির কারখানাগুলোতে রমরমা অবস্থা থাকে। জাল বোনা ব্যক্তিদের ব্যাপক ব্যস্ততাও থাকে। আবার ছেঁড়া জাল মেরামত করার তৎপরতাও থাকে। লকডাউন পরিস্থিতিতে সবকিছুই বন্ধ রয়েছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২ মাস মাছ ধরা বন্ধের জন্য কয়েক হাজার মৎস্যজীবীকে আর্থিক অনটনে চলতে হবে। তার ওপর ট্রলার ও জাল মেরামতের কাজের ক্ষেত্রে সরকার ছাড় না দিলে মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকা আরও সমস্যার মুখে পড়বে। মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও মৎস্যমন্ত্রীকে ছাড় দেওয়ার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে বলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে।