কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : রাজ্যে চতুর্থ দফার লকডাউন পর্বে কনটেনমেন্ট জোনকে বুথভিত্তিক ৩টি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। “এ” হল অ্যাফেক্টেড জোন, “বি” হল বাফার জোন এবং “সি” হল ক্লিন জোন। সূত্রের খবর, “এ” জোনে কনটেনমেন্টের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এক্ষেত্রে পরিষেবায় ছাড় পাওয়া যাবে না। “বি” জোনে অবশ্য ওই সব পরিষেবায় ছাড় পাওয়া যাবে, তবে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে। “সি” জোনে সব পরিষেবাতেই শর্তসাপেক্ষে ছাড় পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, ২১ মে থেকে যে সব পরিষেবায় ছাড় পাওয়া যাবে তা হল- বড় দোকানগুলি। তবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং, মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্যালন, পার্লারেও ছাড়। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেকবার ব্যবহারের আগে স্যানিটাইজ করতে হবে ছুরি-কাঁচি-ক্ষুরও। আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবাতেও ছাড়। তা সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে। সরকারি বাসও চলবে। বেসরকারি বাস মালিকদেরও অনুরোধ করা হয়েছে বাস চালানোর জন্য। আবার ৫০ শতাংশ সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলবে। শপিং মল খুলবে না। তবে শপিং মলের ভিতরে অফিস থাকলে তা খোলা যাবে। অন্যদিকে গল্ফ, টেবল টেনিস ও লন টেনিসের মতো খেলায় ছাড় পাওয়া যাবে। তবে জমায়েত করা যাবে না। হোটেলে ছাড় রয়েছে, তবে তা-ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে। রেস্তোরাঁ খোলা যাবে না এখনই। স্পোর্টস কমপ্লেক্সও ছাড়। এক্ষেত্রে কোনও দর্শক থাকবে না।
অন্যদিকে ২৭ মে থেকে যে সব পরিষেবায় ছাড় পাওয়া যাবে তা হল- হকার্স মার্কেট। এক্ষেত্রে পুলিশ-পুরসভা পাস দেবে। জানা গিয়েছে, পাসের নম্বরের জোড়-বিজোড় ভিত্তিতে একদিন অন্তর বসবেন হকাররা। মাস্ক, স্যানিটাইজেশন ও বিক্রেতাদের গ্লাভস ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। আবার ২ জন করে যাত্রী নিয়ে চলবে অটোরিকশা। এক্ষেত্রে পুলিশ মিটিং করে এই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে।