কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ২ বছরের মধ্যে ৩টি বড় ঝড়। ফণী, বুলবুল ও আম্ফান রয়েছে এই তালিকায়। সুন্দরবনের মানুষ ঠকে শিখছে সব কিছু। উল্লেখ্য, বাদাবনে বাঘ বাড়ার খবর আমরা সম্প্রতি জেনেছি। সেই আনন্দ দূরে সরিয়ে আম্ফানের মোকাবিলায় নামছে ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মী-আধিকারিকরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আছড়ে পড়ার সময়ে উত্তাল সমুদ্র আর জোয়ারের সংমিশ্রণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে নাইলন ফেন্সিং নষ্ট হয়ে জঙ্গলের বাঘ বাইরে বেরিয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এ বিষয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা সুধীর দাসের বক্তব্য, একেবারে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য বোট থেকে বন্দুক, সবই তৈরি থাকছে।
সূত্রের আরও খবর, নবান্নে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম খুলে রাজ্য সরকারও তৈরি বলে জানা গিয়েছে। এনডিআরএফ-এর ৭০ জনের উদ্ধারকারী দলকে কাকদ্বীপ ও সাগরে মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর। ত্রাণ শিবিরেও সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সুন্দরবন ও দিঘার সমস্ত ফ্লাড শেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী মজুত করার কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। সুন্দরবনে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে বলেও খবর। মানুষকে সতর্ক করতে চলছে মাইকিং ব্যবস্থা। নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে রাখা হবে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও।