কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: কলেজ শেষ ও কর্মজীবন শুরুর আগে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ইন্টার্নশিপ। সম্প্রতি রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা শেষ হল। অভিভাবকরা চাইছেন, সন্তান কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ুক। তবে প্রতিবছর নানা সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, শীর্ষস্থানীয় কলেজ ছাড়া এক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২০ শতাংশও জীবিকার উপযুক্ত নয়।
দেশের অর্থনীতির অবস্থা টালমাটাল। শিল্পের প্রায় সবকটি ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার তলানিতে। ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি পাওয়ার মূল ক্ষেত্র — কাজের চরিত্র এবং চাহিদা বদলে গিয়েছে। পড়াশোনা আর সিলেবাস অনুযায়ী ফারাকও তৈরি হচ্ছে। জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা কাজের বাজারে আসবেন, তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠক্রমে একটি ইন্টার্নশিপ নির্ধারিত থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় যাঁরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন তাঁদের কাছে ইন্টার্নশিপ -এর গুরুত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের ক্লাসরুম-শিক্ষা কাজের জগতের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। এই ব্যবধান মেটাতে পারে ইন্টার্নশিপ -এর সুযোগ। বর্তমানের পড়ুয়াকে জানতে হবে কী ভাবে নতুন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে। কোন কোন প্রোগ্রামিং কাঠামোর চাহিদা বেশি। ইন্টারনেট, ক্লাউড পরিকাঠামো, অনলাইন বাজার এবং সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরন। কীভাবেই বা ব্যবসায়িক সংস্থা তাল মিলিয়ে চলছে। ইন্টার্নশিপ -এর মেয়াদ অধিক দু-মাস। ওই সময়ই অনেক কিছু শিখে নেওয়া সম্ভব, যা চাকরি পেতে সাহায্য করবে। প্রকৃত কাজের পরিবেশে সময় কাটিয়ে সেই সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে মিশে এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেওয়া যায়। কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ পাওয়ার একটা ব্যবস্থা হয় শেষের দিকে। শিক্ষার্থীদের নিজের উদ্যোগে ইন্টার্নশিপ খোঁজার চেষ্টা করা উচিত।ছোট বা মাঝারি সংস্থায় এই সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। কাজের জগতের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলাটাই আশু প্রয়োজন। বিস্তর তফাৎ গড়ে দিতে পারে ইন্টার্নশিপ।