কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: উপুড় করে শোয়ানো বাড়াচ্ছে অক্সিজেন। শহরের একাধিক হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ও ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের “অ্যাওয়েক প্রোনিং” বা উপুড় করে শুইয়ে দিলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে বাড়ছে অক্সিজেনের মাত্রা। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হচ্ছে না ভেন্টিলেশন। ভেন্টিলেশন ছাড়াই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরার কয়েকটি উদাহরণও রয়েছে।
এই আশাপ্রদ ফলাফলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও এই অ্যাওয়েক প্রোনিং কৌশল ব্যবহারের প্রস্তাব চিকিৎসকদের দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ — শ্বাসকষ্টের সামান্যতম সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তদের দ্রুত অ্যাওয়েক প্রোনিং করানোর চেষ্টা করতে হবে। রোগীকে উপুড় করার সময় অক্সিজেনের জোগানে যেন বিঘ্ন না ঘটে তা দেখতে হবে।
৩০ থেকে ১২০ মিনিটের জন্য উপুড় করে শুইয়ে দিয়ে বাঁ পাশ, ডান পাশ ও সোজা করে বসাতে হবে। উল্লেখ্য, প্রবল শ্বাসকষ্টের জেরে করোনা আক্রান্তদের অবস্থার অবনতি ও রোগীদের বাঁচাতে ভেন্টিলেশন দেওয়া কোভিড-১৯ চিকিৎসার একমাত্র উপায়। সবক্ষেত্রে আক্রান্তরা সুস্থ্য হয়ে উঠছেন এমন নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ভেন্টিলেশনে (ইনভেসিভ) দেওয়া করোনা রোগীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশের মৃত্যু ঘটে।
অন্যদিকে, ২০১৪ সালের পর বিভিন্ন গবেষণায় প্রমান পাওয়া গিয়েছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের উপুড় করে শুইয়ে দিলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা উন্নতি ঘটে থাকে। বর্তমানে করোনা আবহে সেই প্রক্রিয়ায় রদবদল করে “অ্যাওয়েক প্রোনিং” পদ্ধতির প্রয়োগ চলছে।