কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল ইনসিওরেন্স কোম্পানি (এনআইসি) গত ২৪ এপ্রিল জানিয়েছে, আগামী ১৫ মে থেকে সংস্থার ‘পরিবার-মেডিক্লেম ফর ফ্যামিলি’ পলিসি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ন্যাশনাল মেডিক্লেম পলিসিতেও বদল আনা হচ্ছে। গ্রাহকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে এনআইসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পে আমাদের লস রেশিও বা ক্ষতির অনুপাত এখন ১৮০ শতাংশে পৌঁছেছে।
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, এরসঙ্গে যদি ১৬-১৮ শতাংশ এজেন্সি কমিশন কমা ৫.৪ শতাংশ টিপিএ চার্জ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আরও ১৫ শতাংশ যোগ করা যায় তাহলে ক্ষতির অনুপাত আরও বাড়বে। এবিষয়ে আরও বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চিকিৎসার খরচ অনেকগুণ বেড়েছে। হাসপাতাল ক্ষেত্রের জন্য কোনও নিয়ামক সংস্থাও আমাদের দেশে নেই। এরফলে ক্লেম বাবদ খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসাও বীমা প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে। এবিষয়ে আরও জানা যায়, এমন অনেক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যারা করোনা সংক্রমণের চিকিৎসা বাবদ ১২ লক্ষ টাকার বিল পাঠিয়েছে। সবমিলিয়ে এই প্রকল্প বন্ধ করে নতুন বীমা প্রকল্প আনা ছাড়া আরও কোনও উপায় ছিল না। এনআইসি-র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ১৫ মে-র পর এই বীমা আর নতুন গ্রাহককে বিক্রি করা হবে না।
এক্ষেত্রে বর্তমান গ্রাহকদের ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড দেওয়া হচ্ছে। ১৫ মে থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে যাঁদের বীমা পুনর্নবীকরণের দিন রয়েছে, তাঁরা চাইলে আরও ১ বছরের জন্য একই প্রিমিয়াম দিয়ে পরিবার স্বাস্থ্য বীমা চালিয়ে যেতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ১২ আগস্ট যাঁদের বীমার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাঁরা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন। এরপর আরও কোনও পরিবার মেডিক্লেম বীমা পুনর্নবীকরণ করা হবে না।
আরও বলা হয়েছে, গ্রাহকরা চাইলে নতুন ন্যাশনাল পরিবার পলিসি, আরোগ্য সঞ্জীবনী পলিসি (শুধুমাত্র ফ্লোটার প্রকল্প), ন্যাশনাল মেডিক্লেম পলিসি (যে ক্ষেত্রে একক ব্যক্তির বীমা রয়েছে) এবং ন্যাশনাল সিনিয়র সিটিজেন মেডিক্লেম পলিসির মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে। এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, যাঁদের বীমা পুনর্নবীকরণের দিন ১৩ আগস্টের পর রয়েছে, তাঁদের এই ৪ পলিসির যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হবে। গ্রাহকের সিনিয়রিটি, নো-ক্লেম বোনাস সবই নতুন বীমা প্রকল্পে ট্রান্সফার হয়ে যাবে।