কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : অত্যন্ত সাধারণ ছিল জীবনযাপন। ছিল বিরাট মন। ছিলেন সুপুরুষ ও সুকণ্ঠের অধিকারী। আজ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ। আত্মবিশ্বাসী মানুষও ছিলেন। জানা যায়, নিজের উপর আস্থা এতটাই ছিল যে এক গান বারবার করতেন না। তাঁকে শুধু শিল্পী বলা চলে না। তিনি ছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি। এ যুগেও বড় প্রাসঙ্গিক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। বাংলা-সহ হিন্দি গানের জগতে তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল। এমন পেশাদারিত্ব খুব কম শিল্পীর মধ্যেই দেখা যায়। গানের জগতে সে সময় বিচরণ করেছেন স্বচ্ছন্দে। শুধু শিল্পী নন, বড় মাপের সুরকারও ছিলেন। আজও তাঁর গান নতুন গায়করা গাইছেন। অন্যদিকে গ্রাম বাংলার সুরের আদলে অনেক গান তিনি তৈরি করেছিলেন। তাঁর কালজয়ী গানগুলির মধ্যে অন্যতম হল– “এই পথ যদি না শেষ হয়”, “ও শাম কুছ অজিব থি”, “ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস”…. প্রভৃতি। অনেক ছায়াছবির গানের মধ্যে এখনও শোনা যায়– “মৌবনে আজ”, “এই রাত তোমার আমার”, “সূর্য ডোবার পালা” এবং “নীল আকাশের নিচে” প্রভৃতি বিভিন্ন গানগুলি। আধুনিক গানেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। আধুনিক অসংখ্য গানের মধ্যে আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে কিছু গান। যেমন– “আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে”, “মেঘ কালো আঁধার কালো”, “দুরন্ত ঘূর্ণি”, “তুমি এলে অনেক দিনের পরে”। আজ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ১০০-তম জন্মদিন। ১৯২০ সালের ১৬ জুন বেনারসে তাঁর জন্ম হয়। আদি বাড়ি ছিল জয়নগরে। আজও চির-স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন হেমন্ত। গায়ক-সুরকার দুটি ভূমিকাতেই তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন। “নাগিন” ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ারে সেরা সুরকারের সম্মান পেয়েছেন। গায়ক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ২ বার। “নিমন্ত্রণ” ও “লালন ফকির” ছবির জন্য তাঁকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৮৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে প্রখ্যাত এই শিল্পী প্রয়াত হন।