কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : আম্ফানের অভিঘাতে রাসায়নিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা হলদিয়ায়। সূত্রের খবর, তীব্র ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে এলে জীবন-জীবিকা, ঘরবাড়ি, সম্পত্তি ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকেই। আম্ফান সর্বশক্তি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানলে বাড়তে পারে অন্য বিপত্তি। এমনই আশঙ্কা পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ হানা দিলে হলদিয়ায় রাসায়নিক বিপর্যয়েরও সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে, পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমার হলদিয়ার ২২টি কারখানা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আম্ফান ধেয়ে আসছে এবং এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যে-কোনও বিপর্যয় বা ক্ষয়ক্ষতি না-হয়, সেটা নিশ্চিত করতে কারখানায় বিষাক্ত ও ক্ষতিকর রাসায়নিক নাড়াচাড়া, ব্যবহার ও মজুত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি কী-কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা অবিলম্বে ই-মেল করে জানাতে হবে পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে। উল্লেখ্য, আম্ফান-এর প্রাক্কালে হলদিয়া বা রাজ্যের কোনও অঞ্চলের কারখানাগুলিকে পর্ষদের পক্ষ থেকে সতর্ক করার ঘটনা এই প্রথম। উপকূলে ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে আম্ফান আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া দপ্তর। উপকূলের কাছে থাকা হলদিয়াতে এই গতি আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, হলদিয়ায় ২২টি শিল্প কারখানার মধ্যে প্রায় ১৭টিই বিষাক্ত বা অতি দাহ্য গ্যাস বা রাসায়নিক নিয়ে কাজ করে। ওই গ্যাসের মধ্যে রয়েছে অ্যামোনিয়া, ক্লোরিন ও এলপিজি। আবার টলউইনের মতো অ্যাসিডও রয়েছে।