কাজকেরিয়ার অনলাইন নিউজ ডেস্ক : ৫ কাঠা জমিতে আপেল চাষ করে সাফল্য পেলেন প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। স্থানীয় সূত্রের খবর, নদিয়ার হাঁসখালির বগুলার এই কৃষকের প্রচেষ্টায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা-সহ প্রশাসন। ওই এলাকায় গাছে ফলা সবুজ-লাল আপেলই নজর কেড়েছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার পর এবার নদিয়ায় আপেল চাষে সাফল্য পাওয়া গেল। প্রথমদিকে এই আপেল চাষ নিয়ে বহু মানুষ অনেকেই বিদ্রুপ করেছিলেন তাঁকে।
এখন মিষ্টি স্বাদের আপেল তাঁদেরই মুখে-হাসি ফুটিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৩ মাস আগে নিজের হাতে লাগানো ৪০টি গাছের মধ্যে ৩৬টি গাছ বেঁচে রয়েছে। এখন ৫ থেকে ৬ ফুট গাছে গড়ে ৩০ থেকে ৪০টির বেশি ফল এসেছে। ধান-পাটের জমিতে মাটি ফেলে উঁচু করে আপেল ফলিয়ে ওই যুবক নজর কেড়েছেন জেলার কৃষি ও উদ্যান-পালন দপ্তরের। হাঁসখালির ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। আতমা প্রকল্পে প্রসেনজিৎ বিশ্বাসকে যেটুকু সাহায্য করা যায় তা করা হবে। ওঁর এই বিকল্প চাষে আরও যাতে প্রসার ঘটে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এমনকী জেলা কৃষি দপ্তরের কর্তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই কৃষকের ব্ক্তব্য, আমার এক পরিচিতির মাধ্যমে এই গাছের চারা আনিয়েছিলাম। টিস্যু কালচারের গাছ। ফলে যে-কোনও আবহাওয়ায় গাছ বেঁচে থাকবে। গোবর, কেঁচো সার দিয়ে এই চাষ করেছি। আপেল চাষটা নিচু জমিতে হয় না। তাই মাটি ফেলে জমিটা উঁচু করতে হয়েছে। এই সব জমিতে আগে পাট ও ধান চাষ হত। ১৩ মাস আগে গাছ লাগিয়েছিলাম। এখন গাছগুলি ৫ থেকে ৬ ফুট মতো বড় হয়েছে। তিনি আরও জানান, একটি গাছ ৩-৪ বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এখন একটা গাছে ৩০টি, একটা গাছে ৭৮টি আপেল ফলেছে। প্রাপ্তবয়স্ক হলে এখান থেকে কম করে ৩০০টি ফল পাওয়া যাবে।